আইন পেশার ২৫ বছর উদযাপন এবং নতুন চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা ব্যারিস্টার নাজিরের
শেখনিউজ রিপোর্টঃ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ সোমবার
লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে, আছে দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই অনুভূতি থেকেই আমার ব্যক্তিগত আয়ের একটি অংশের অর্থায়নে চ্যারিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত এক মিলিয়ন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো।’
সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার নাজিরের আইন পেশায় ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে “সিলভার জুবিলী” উদ্যাপন এবং এ উপলক্ষ্যে “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন” নামে নতুন এক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “Meet the Press with Barrister Nazir Ahmed”শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি “Inspire a Million” নামে একটি প্রজেক্ট ও চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমার জন্ম আফ্রিকায় হতে পারতো, হতে পারতো কেনারি আইল্যান্ড অব ডমিনিকাতে! কিন্তু মহান প্রভু আমার জন্মস্থান বাছাই করেছেন বাংলাদেশে। সুতরাং দায়িত্ব থেকেই সেবার কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করছি; এটির কাজ হবে বহুমূখী: অসহায় ব্যক্তি বা পরিবারকে স্বাবলম্বী করা; সুনির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দেয়া; ট্যালেন্ট হান্ট করে মেন্টরিং করা; এতিমদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখানো; গরীব ও মেধাবীদের বৃত্তি দেয়া; স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ইন্সপায়ার ও মোটিভেট করার ইনিশিয়েটিভ নেয়া ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, ব্যারিষ্টার নাজির আহমেদ একজন প্রতিথযশা আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও লন্ডনের নিউহ্যাম বারার টানা তিনবারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার।
সুদীর্ঘ আইন পেশায় বহুমুখী কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে ব্যারিস্টার নাজির বলেন, দীর্ঘ পঁচিশ বছরের প্রচণ্ড ব্যস্ত আইনি ক্যারিয়ারে বহুমুখী কমিউনিটি ও সমাজ সেবায় ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলাম। হাজার হাজার ঘণ্টা খরচ করে বৃটেন থেকে সম্প্রচারিত হওয়া একাধিক টিভি চ্যানেলে ফ্রি লিগ্যাল এডভাইস দিয়েছি।
লেখালেখি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিগ্যাল প্রাকটিস ছিল আমার পেশা। কিন্তু লেখালেখি বলা যায় আমার নেশা বা প্যাশন। প্রচণ্ড প্রফেশনাল ব্যস্ততার মধ্যেও বৃটেনের একাধিক পত্রিকায় বহু বছর নিয়মিতভাবে বাংলায় ও ইংরেজীতে লিখেছি। গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের প্রথম সারির এক প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকে অনেকটা নিয়মিতভাবে লিখে যাচ্ছি। আমার লেখালেখির বিষয় হচ্ছে সমসাময়িক বিষয়, আইন ও সংবিধান। এ পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজীতে আমার সাতটি বই বের হয়েছে। আরো কয়েকটির পান্ডুলিপি প্রস্তুত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পূণর্গঠনে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, আজীবন কেউ বেঁচে থাকবে না। বরং মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কর্মের মধ্যে। জীবনের এই বাঁকে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনা করছি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু কাজ করার।
“মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে বৃটেনে প্রিন্টিং ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফুউদ্দিন খালেদ, বৃটেনের স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী ও মুসলিম কাউন্সিল অব বৃটেনের (এমসিবি) সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী এমবিই ডিএল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টির (বিবিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক শাহগীর বখত ফারুক, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান এবং লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী সাংবাদিক তাইসির মাহমুদ।