ইউক্রেনে রাশিয়ার ১২০টি মিসাইল দিয়ে আক্রমণ: বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ
শেখনিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার মিসাইলের মজুদ শেষ হওয়ার ইউক্রেনের দাবির কয়েক দিনের মাথায়ই ইউক্রেনে একদিনে ১২০টি মিসাইল ছুড়লো রাশিয়া। হামলার পর ইউক্রেনের একটার পর একটা শহর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি শহরে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য এ হামলার আগেই রাজধানী কিয়েভের তিন লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন ছিলেন। এছাড়া পশ্চিম ইউক্রেনের বড় শহর লিভোভও বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র আন্দ্রি সাদোভি। তিনি তার নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, লিভোভের ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। খবর আল-জাজিরা ও বিবিসির।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া একসঙ্গে এত মিসাইল ছুঁড়েছে যে, ক্ষয়ক্ষতি বুঝতেই অনেক সময় লেগে যাবে। এখন পর্যন্ত কিয়েভ, খারকভ, লিভোভ এবং ওডেসাতে বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, কিয়েভ শহর, কিয়েভ অঞ্চল, খারকভ, নিকোলায়েভ, ওডেসা, ওডেসা অঞ্চল, দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চল, ইভানো-ফ্রানকিভস্ক, লিভোভ, খিমেলনিতস্কি এবং ভিনিয়েতসাতে।
মিসাইল হামলার পর ইউক্রেন জুড়ে সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, ১২০টিরও বেশি রুশ মিসাইল ইউক্রেনের বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় ছোঁড়া হয়েছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া বিভিন্ন উৎস থেকে একসঙ্গে এই মিসাইলগুলো ছুঁড়েছে। ভূমির পাশাপাশি সমুদ্র ও আকাশ থেকেও মিসাইল ছোড়া হয়। মিসাইলের সঙ্গে ছিল কামিকাজি সুইসাইড ড্রোনও।
রাশিয়ার মিসাইল ও ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা করতে ইউক্রেনকে ব্যাপক পরিমাণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা মিত্ররা। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দেশের ৯০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এভাবে হামলা অব্যাহত থাকলে গোটা ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন আলোচনায় না বসলে তাদের মিসাইল হামলা অব্যাহত থাকবে।