সরকার ব্যর্থ হওয়ার পথে: বিপ্লবী জাতীয় সরকারের জল্পনা
শেখনিউজ রিপোর্ট: ইতিমধ্যেই সংবিধান বহির্ভুত জাতীয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতার পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার বিপরীতে তাদের চেহারা দেখাতে শুরু করেছে। মূলত বিপ্লবটি ছাত্র-জনতা তথা আমজনতার হওয়ার কারণে যে চরিত্র ধারণ করার কথা ছিল তা এলিটদের দ্বারা হাইজ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তাদের গণবিরোধী কিছু কিছু ভূমিকার কারণে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে; এমনকি যেই সকল বিপ্লবী ছাত্র জনতা এই সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছিল তারাও সোচ্চার হয়েছেন সরকারের গণবিরোধী ভূমিকার কারণে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী এমনকি ক্রিমিনাল কেসের আসামি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রথম থেকেই সরকারে ঠাঁই দেয়ার কারণে ক্রমেই সরকারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতার ক্ষোভ বাড়ছে। এমনকি অথর্ব এবং এনজিওর লোকজনকে দিয়ে সরকার পরিচালনার কারণে সরকারের ব্যর্থতা বাড়ছে এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সাথেও দূরত্ব বাড়ছে বিপদজনক ভাবে।
একইভাবে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও বিচারবিভাগের ক্রমাগত অবহেলার কারণে সশস্ত্র বাহিনীগুলোর পক্ষেও সেই শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংস্কারের নামেও অনেক ফ্যাসিবাদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন কমিশনে সংযুক্ত করা এবং যোগ্যতাহীন বা ভিন্ন যোগ্যতার এক একজনকে ভিন্ন ভিন্ন কমিশনের দায়িত্ব দেয়াতেও প্রশ্ন উঠেছে।
সবচেয়ে বিপদজ্জনক হচ্ছে পুরো ক্ষোভ বিক্ষোভ বা সমালোচনাকে ডঃ ইউনূসের সংবিধান প্রেমিক অসাংবিধানিক সরকার কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না; বিষয়টিকে আমজনতা আরেক ফ্যাসিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ পাচ্ছে। কারণ রাষ্ট্রব্যবস্থায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের লোকজনকে হটানোর এখনো কোন বাস্তব পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে না।
সরকারের তালগোল মার্কা এই সকল কর্মকান্ডের মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে হোয়াটসএপ এ একটি সম্ভাব্য বিপ্লবী জাতীয় সরকারের তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই তালিকাটি বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে; এমনকি এটি ভারতেও বিস্তৃতি লাভ করেছে।
প্রস্তাবিত বিপ্লবী জাতীয় সরকারটিতে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে এটি করার শর্ত হিসেবে বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করার কথা বলা হয়েছে এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদেরও সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সাথে সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকেই রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমবেশী ৩৯ টি (মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ব্যতীত)। সংবিধান স্থগিত সাপেক্ষে প্রস্তাবিত বিপ্লবী জাতীয় সরকারের সদস্যদের নাম:
রাষ্ট্রপতি: ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস
মন্ত্রী:
-মির্জা ফখরুল ইসলাম (বিএনপি)
-ডঃ মঈন খান (বিএনপি)
-মেজর (অব) হাফিজ (বিএনপি)
-মির্জা আব্বাস (বিএনপি)
-ডাঃ শফিকুর রহমান (জামায়াত)
-মিয়া গোলাম পরওয়ার (জামায়াতে ইসলামী)
-আসম আব্দুর রব (জাসদ)
-মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য)
-কর্নেল (অব) অলি আহমদ (এলডিপি)
-শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (লিবারেল পার্টি)
-খন্দকার গোলাম মুর্তজা (এনডিপি)
-মজিবুর রহমান মঞ্জু (এবি পার্টি)
-মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি)
-নুরুল হক নূর (গণ অধিকার)
-জেবেল রহমান গনি (ন্যাপ)
-জুনায়েদ সাকি – (গণ সংহতি)
-ডিউক হুদা (ফ্রিডম পার্টি)
-আন্দালিব রহমান পার্থ (জেপি)
-ববি হাজ্জাজ (এনডিএম)
-বদরুদ্দীন উমর (কমিউনিস্ট পার্টি)
-মুফতি ইজহার (হেফাজত)
– চাষী মামুন (যুক্ত ফোরাম)
-মাহমুদুর রহমান (পেশাজীবী)
-ডঃ আসিফ নজরুল (শিক্ষাঙ্গন)
-সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (এনজিও)
-পিনাকী ভট্টাচার্য (সংখ্যালঘু)
-মতিউর রহমান চৌধুরী (গণমাধ্যম)
-আদিলুর রহমান খান (মানবাধিকার)
-মাহফুজুর রহমান (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র)
-আসিফ মাহমুদ সজীব (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র)
-মোঃ নাহিদ ইসলাম (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র)
-সালেহ উদ্দিন আহমেদ (অর্থনীতিবিদ)
-ব্যারিস্টার নাজির আহমদ (প্রবাসী)
–
-সেনাবাহিনী প্রধান (প্রতিরক্ষা)
-বিমান বাহিনী প্রধান (বেসামরিক বিমান)
-নৌ বাহিনী প্রধান (নৌ চলাচল)