১১ জানুয়ারী অবস্থান কর্মসূচী: আরো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা বিএনপির
শেখনিউজ রিপোর্ট: ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপি আগামী ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জনগণের পক্ষে দশ দফা ঘোষণা করেছি। তারই প্রথম কর্মসুচি হলো গণমিছিল। ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে আগামী ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এসময় একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ, জামায়াতসহ অন্যান্য ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলোও কর্মসূচি পালন করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এ কর্মসূচিতে আজকে এসব দফার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জোট সমর্থন জানিয়েছে। আমাদের দশ দফার মূল হলো-অবিলম্বে গায়ের জোরে টিকে থাকা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আগামী দিনে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করবে। তার নমুনা আজকের এই গণমিছিল। আর এ ধরনের স্বৈরাচার নিজেরা ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদেরকে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে, সারাদেশে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মী জেলে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। সুতরাং যতই গ্রেফতার করা হোক না কেন, রাস্তায় জনগণ নেমে গেছে, আর তাদের থামানো যাবে না।
আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচার ও বিশ্বে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। এজন্য তারা গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশালী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তারা দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে। তাদের সাথে জনগণ নেই।
তিনি বলেন, সরকারি দলের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলো শুন্য করে ফেলেছে। অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায় চলে গেছে। দেশে বিচারবিভাগ দলীয়করণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। তাদের দ্বারা অর্থনীতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, কোনো স্বৈরাচার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এরশাদ পারেনি, আইয়ুব খান পারেনি। এই আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। আমরা আমাদের দফা আদায়ে আরো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবো। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করবো।