“মোদী মূর্তি”ই হবে সর্বোচ্চ

আবু জাফর মাহমুদ: কৃষক ও ক্ষুদ্র জমির মালিকদেরকে ফতুর করার আইন করার বিনিময়ে গুজরাটে সর্বোচ্চ “মোদী মূর্তি” তৈরীর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত।চীনা কোম্পানীই তা গড়ে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগে আছেন দেশের প্রধান দুই ধনী স্বনামধন্য মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিরা। কৃষক ও ক্ষুদ্র জমির মালিকদেরকে ফতুর করার আইন করার বিনিময়ে গুজরাটে সর্বোচ্চ “মোদী মূর্তি” তৈরীর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত।চীনা কোম্পানীই তা গড়ে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগে আছেন দেশের প্রধান দুই ধনী স্বনামধন্য মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিরা।

চীন কেবল ভারতীয় লাদাখ সহ বিশাল অঞ্চল দখল করেনি।দখল করেছে প্রধানমন্ত্রীর হৃদয় ও রাজনৈতিক আখড়ার গোপন সুরঙ্গ।বিশাল চীন মোদীর মূর্তিকে দুনিয়ার অন্যতম দর্শনীয় উপাদান করে দিচ্ছে।করোনা প্যান্ডামিকে অসংখ্য ব্যবসায়ীর ব্যবসা হাবুডুবু খেলেও মোদীজীদের উল্লেখিত কর্পোরেট অংশীদাররা মোটিয়েছেন উর্দ্ধগতিতে।
সারা ভারতের কৃষকদেরকে ভারতের প্রধান দুই ধনী মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির কোম্পানীর দাসত্বে বন্দী রাখার ব্যবস্থা আইনে রূপ দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সুখ নিদ্রায় আছে নাকে তেল দিয়ে।মুকেশ এবার নিয়ে ১২ বার সেরা ধনী এবং গৌতম এবার টেক টাইকুন আজিম প্রেমজিকে টপকিয়ে দ্বিতীয় সেরা পদ কেড়েছেন।
কোটি কোটি কৃষকদের জমি ঘর বাড়ী নিলামে যাওয়ার নিশ্চিত ফাঁদ আইনে রূপ দেয়ার পর মোদীর মূর্তিই হবে ভারতের সর্বোচ্চ উঁচু।অভাবী কৃষক সমাজ করছে আহাজারি,ডুবছে খাদে।অপরদিকে শ্লোগান চলছে হিন্দুত্ববাদ জিন্দাবাদ, ইসলাম নিশ্চিহ্ন হউক।বিশ্লেষকরা বলছেন,ভারত চলছে গণতন্ত্রে নয়,কোম্পানী মন্ত্রে।
অর্বস ইন্ডিয়ার তালিকা অনুযায়ী ২০১৯সনে রিলায়েন্স ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানি ৫১.৪ বিলিয়নের মালিক হয়ে প্রথম ধনী ও ১৫.৭ মিলিয়নের মালিক হয়ে ৮ ধনীকে পিছিয়ে ২য় স্থান অর্জন করেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।এখনো তারাই সেরা।দুনিয়া ভাগাভাগির অতি সাম্প্রতিক হিস্যা অনুযায়ী ভারতের সর্বোচ্চ ধনীদের নিয়ন্ত্রিত শাসন কার্যকর চলছে।তাদের গাইড অনুযায়ীই আইন ও শাসন আছে চালু।
ভারতে কৃষকদের আন্দোলনকে উপমহাদেশের ‘আত্নারক্ষা’র লড়াই বলা যায়।গরীব ক্ষুধার্ত রুগ্নদেহী কৃষকরা ক্ষোভে ভয়ে আত্নহত্যা করেছে আর এস এস-বিজেপি সরকারের কৃষি আইন ২০২০ জারির পর থেকে।প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর সরকারের মনুষ্যত্ব-বিরোধী ইন্ডিয়ান কৃষি সংস্কার আইন ২০২০ তথাকথিত “আত্ননির্ভর ভারত অভিযান” ইংরেজীতে সেলফ-রেলিয়েন্ট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন প্রেসিডেণ্টের অধ্যাদেশে পায় ৫ই জুন। ইন্ডিয়ান পার্লামেণ্ট তাড়াহুড়ো করে অনুমোদন দিয়েছে ২৭সেপ্টম্বর।
বিশ্লেষকদের মতে,কোভিট-১৯র নির্মম ছোবলে অসংখ্য মৃত ও অনেকগুণ আক্রান্ত গণমানুষের মর্মন্তুদ অসহায় পরিস্থিতিতে এই নিষ্ঠুর আঘাত হানেন ভারতের আত্নায়। মোদীজীর নেতৃত্বে পরিচালিত বিবেক বর্জিত বিজেপি সরকার এবং তার সাঙ্গপাংগরা এই বিষাক্ত ৩টি আইন সম্পর্কে বলেন,ভারতীয় কৃষকদের লাভবান করার জন্যে এই আইন তাদের “শ্রেষ্ট উপহার”।
মোদীজী তার কর্পোরেট পার্টনারদের সাথে যেভাবে অঙ্গিকারে আবদ্ধ আছেন,তাতে মনে হয়না এই আইন প্রত্যাহার করার জন্যে তিনি বর্তমান অবস্থান বদলাবেন।এই আইন অব্যাহত থাকার ফলে ভারতের কৃষিজীবন ও কৃষি উৎপাদন হাতে হ্যারিকেন নিলো।
ভারতীয়দের খাদ্য নিরাপত্তা মুমূর্ষু হয়ে গেলো।হাহাকার ও সংঘাতের বিভীষিকায় পথহারাদের চেঁচামেচি ও উপদ্রব হবে নিত্যদিনের সংবাদ।হতভাগাদের জমি বেদখল হবে। খুবই সামান্য দরে কেনাবেচা হতে থাকবে।ক্রেতা হবেন বিশাল বড় মাপের মাফিয়ারা।ভিক্ষুক হবেন এই খাদ্য উৎপাদকরা।ভারতবর্ষের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হলো মনে হচ্ছে।
ভারতে কৃষকদের আন্দোলনকে উপমহাদেশের ‘আত্নারক্ষা’র লড়াই বলা যায়।গরীব ক্ষুধার্ত রুগ্নদেহী কৃষকরা ক্ষোভে ভয়ে আত্নহত্যা করেছে আর এস এস-বিজেপি সরকারের কৃষি আইন ২০২০ জারির পর থেকে।প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর সরকারের মনুষ্যত্ব-বিরোধী ইন্ডিয়ান কৃষি সংস্কার আইন ২০২০ তথাকথিত “আত্ননির্ভর ভারত অভিযান” ইংরেজীতে সেলফ-রেলিয়েন্ট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন প্রেসিডেণ্টের অধ্যাদেশে পায় ৫ই জুন। ইন্ডিয়ান পার্লামেণ্ট তাড়াহুড়ো করে অনুমোদন দিয়েছে ২৭সেপ্টম্বর।
বিশ্লেষকদের মতে,কোভিট-১৯র নির্মম ছোবলে অসংখ্য মৃত ও অনেকগুণ আক্রান্ত গণমানুষের মর্মন্তুদ অসহায় পরিস্থিতিতে এই নিষ্ঠুর আঘাত হানেন ভারতের আত্নায়। মোদীজীর নেতৃত্বে পরিচালিত বিবেক বর্জিত বিজেপি সরকার এবং তার সাঙ্গপাংগরা এই বিষাক্ত ৩টি আইন সম্পর্কে বলেন,ভারতীয় কৃষকদের লাভবান করার জন্যে এই আইন তাদের “শ্রেষ্ট উপহার”।
কৃষি উৎপাদক ও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকরা নিজেরা তাদের পণ্য বিক্রয় করা এবং পণ্যের দাম ঠিক করার কোন অধিকার মোদী সরকারের নতুন আইনে নেই।কৃষি খরচ বা কৃষি সরঞ্জাম পাওয়া বা কৃষির জন্যে সুযোগ সুবিধার অধিকার কৃষকদের থেকে কেড়ে নিয়ে মোদীদের কর্পোরেট পার্টনারগুলোকে দেয়া হয়েছে এই আইনে।এই কোম্পানিদের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরেই নির্ভর থাকবে সারা ভারতের এই খাদ্য উৎপাদকদের জীবন,জমি ও অস্তিত্ব।
বৃটিশের ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পথ নিয়ে মোদী সরকার এই দুই কোম্পানীকে লাভবান করার নীতি এবং আইন গড়লেন।বিশ্লেষকরা দাবি করছেন,ভারতবর্ষে পর্দার অন্তরালে বৃটিশ আবার সহায়তা করছে অভিজ্ঞতা দিয়ে এবং এসময় অন্যান্য পরাশক্তিগুলোর ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিনিধি আম্বানি এবং আদানিরা।রাজনৈতিক প্রতিনিধি হচ্ছেন আর এস এস এবং বিজেপি।মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তাকে যথার্থ উপযোগী করে রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি প্রেসিডেণ্ট অমিত শাহ।

কৃষকরা দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে নেমেছেন। মোদী সরকারের এই আইন প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন আমৃত্যু আহাজারির।তিলে তিলে উপবাসে নিশ্চিত মৃত্যুর চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশ দশের কল্যাণের সামাজিক সংহতিই তারা করছেন।তাদের প্রতিজ্ঞা তারা আর. এস. এস-বিজেপি গোষ্ঠীর এই অপরাধের কাছে আত্নসমর্পন করবেননা।এদের নেতারা এখনো গান্ধীবাদী আন্দোলনের বাহিরে নন।দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা হলেন গ্রামীন বাসিন্দাদের শতকরা ৮২জন। এদেরকেই বলা যায় ভারতের আত্না।