শেখনিউজ রিপোর্ট: কারাগারে আটক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পল্টন ও বাড্ডা থানার নাশকতার আরো তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারের বৈধতা দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চালক আয়নালকে বাদি করে পল্টন থানায় মামলা করানো হয়েছিল। সেই কথিত মামলাটির পুলিশি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান। এ মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য আগামি ২৯ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলাটি হচ্ছে ৩টি মামলার অন্যতম।
এছাড়া ২০১৩ সালে বিএনপি অফিসের সামনে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় এবং ২০১৫ সালের বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় রিজভীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই তিন মামলাই বিচারাধীন।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর রিজভীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে দু’হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়; এই মামলার বরাত দিয়ে আরো বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আশংকা করা হচ্ছে।