শেখনিউজ রিপোর্টঃ দেশে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনকে মৃত্যু দেখানো হলেও সত্যিকার অর্থে গড়ে মৃত্যুর হার ৭০০ এ রমত। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অজস্র মানুষ মরে পরে থাকলে সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এদের কবরস্থ বা সৎকারের ব্যবস্থা করে থাকে। আর এই অধিক হারে মৃত্যুর খবর বাইরে প্রকাশ না করতে সংগঠনগুলোর উপর যেমন হুমকি রয়েছে তেমনি হুমকি রয়েছে মিডিয়ার উপর।
সরকার সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে কমপক্ষে ৪০% ঢাকাবাসী করোনায় আক্রান্ত। সারা দেশে ৩ লাখ ৯৭ হাজার টেস্ট করে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। টেস্ট অনুযায়ী যেভাবে সংক্রমনের সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রায় ২ কোটির অধিক নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারের লোকজনের টাকা বানানোর লোভে দেশ এখন একপ্রকার গণহত্যার সম্মুখীন।
প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে যে মৃত্যু হচ্ছে তার যোগফলও কয়েক শত বলে হাসপাতাল সুত্রগুলো থেকে জানা গেছে; তবে কেউ তাদের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক, তারা ভীত সন্ত্রস্ত। ইতিমধ্যে পুলিশে নিম্নপদে আক্রান্তের সংখ্যাও সঠিক প্রকাশ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন সরকারের লোভের ও প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ছে পুরো জাতি, যে কারনে ৫ হাজার টাকা দিতে টেস্ট করান চালু থাকলেও ৩০০ টাকার কিট ৩ মাসেও অনুমোদন পায়নি।
ইতিমধ্যে এ লোভী গোষ্ঠীর কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ায় এদের মধ্যেও ভয় বাসা বাঁধছে। তবুও তাদের মৃত্যু হলে স্ত্রী সন্তান মোটা অংকের টাকা পাবে এই লোভে অনেকেই গণবিরোধী ভুমিকা থেকে সরছেন না। যেমন র্যাবের যারা হুমকি ও অপহরনে জড়িত তারা বুঝতেই পারছেন না কিভাবে করোনা এগিয়ে আসছে তার ও তার স্ত্রী সন্তান পরিজনের দিকে।
সবাই আশ্চর্য হয়ে দেখছে ভারতে বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকার যেভাবে তার নাগরিকদের হত্যা করছে করোনা দিয়ে, যেভাবে মিডিয়াকে সত্য সংবাদ প্রকাশে নিয়ন্ত্রন করছে, এখানেও সেই একই কাজ চলছে। অথচ ভারতে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ একবেলা খায়, এদের নেই কোন পয়ঃনিস্কাসনের সুবিধা। এই জনগোষ্ঠী মরলেও তা সংবাদে স্থান পায় খুবই কম। ইদানিং এরা পরিচিত পাচ্ছে হয় মুসলিম না হয় বাংলাদেশী হিসেবে।
সচেতন মহলের মতে, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সঠিক হিসেব প্রকাশ হলে জনগন এমনিতেই সাবধানতা অবলম্বন করে নিজেরাই শুধরে যেতো। কিন্তু শিল্পপতি বিশেষ করে পোশাক শিল্প মালিকদের লোভের আগুনে পুড়ছে লাখ লাখ জীবন। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার কোটি রাষ্ট্রীয় টাকা হজম করে এখন তারা শ্রমিক ছাঁটাইয়ের দিকে হাঁটা শুরু করেছে। এর পরিনতিতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হাতে তাদের সম্পদ ও জীবন হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সরকারী সুত্র জানিয়েছে।
ঢাকায় অধিকাংশ মৃত্যু হচ্ছে বস্তি এলাকায়। সহজেই যা ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। সরকারও দরিদ্র এ মানুষদের মৃত্যুকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন হিসেবে ভাবছে। এই মৃত্যু সংবাদ না হওয়ার জন্য এনজিও এবং সংবাদ মিডিয়াকে র্যাবের পক্ষ থেকে সরকারী আইসলেশনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। কেউ কেউ এগুলো রেকর্ড করে রেখেছেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে দেশ লকডাউন থাকলে, সরকারের পক্ষে দেশকে চালিয়ে নেয়া সম্ভবপর নয়, এতে যে কোন সময় সরকার মুখ থুবড়ে পড়বে; তাই জনসংখ্যা হ্রাস হয়াকে আশীর্বাদ ধরেই লকডাউন উথিয়ে রিস্ক নিয়ে সব চালু করার কাজটি তারা করেছে অবলিলায়; কারন তারা অস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র নাগরিকদের দাবিয়ে রাখার বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রমানিত বলে ধরে নিয়েছে।
এমতাবস্থায় হাজার হাজার মানুষদের মৃত্যুর মিছিল শুরু হলে পরিস্থিতি কি হবে বা সরকারকে প্রটেকশন দেয়া বাহিনীর লোকজন ও তাদের স্ত্রী সন্তানদের লাশের মিছিল শুরু হলে সরকারকে রক্ষা করবে কে, সে বিষয়টি আসন্ন হলেই কেবল বোধ ফিরবে; নতুবা নয়। কিন্তু তখন আসলেই দেরি হয়ে যাবে। হয়তো সরকারের কেউ পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবেন না। করোনার থাবায় সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।
Hits: 205